৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ সংক্ষুব্ধ লিটনের বক্তব্য

আপডেট: ডিসেম্বর ৯, ২০২৩

| palash

স্টাফ রিপোর্টার : গত ১ অক্টোবর নির্ভীক সংবাদ’র ২৪তম বর্ষে তৃতীয় সংখ্যায় “কোটি টাকার বাজেট, আন্তর্জাতিক অপরাধচক্রের সক্রিয় সদস্য মামুন-লিটনের কিলিং টার্গেটে রানা হত্যা মামলার বাদী জাফর শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পুরনো ঢাকার ইসলামবাগের মোহাম্মদ লিটন আহমেদ। প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত দাবী করে লিটন তার প্রতিবাদপত্রে বলেন, আমাকে ও আমার পরিবারকে জড়িয়ে যে প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট এবং মনগড়া। মামলাবাজ ও সন্ত্রাসী জাফর সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে তথ্যসন্ত্রাস চালাচ্ছে এবং একের পর এক মিথ্যা মামলা করে আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জাফর ঢাকার কতিপয় সুযোগসন্ধানী ব্যাক্তিকে নিয়ে ফেস্টুন ব্যানার করে আমার নামে মিথ্যাচার অপপ্রচার করে সম্মানহানি করছে।

জাফর আমাকে যখন তার ভাইয়ের খুনের ঘটনা জানায় তখন ওর পক্ষ হয়ে আমি সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করি। পরবর্তীতে জাফরের মুখ থেকে আমি যখন মূল ঘটনা জানতে পারি তখন জাফরের পিছন থেকে সরে আমি সরে আসি। আফ্রিকার বিষয়ে জাফরের মিথ্যাচারের পক্ষ না নেওয়ার কারণে সে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে এবং সাংবাদিকদের ভুলতথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে তথ্যসন্ত্রাস চালিয়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করছে।

প্রকৃত ঘটনা হলো জাফর ইকবাল জাফর তার মৃত ছোট ভাইয়ের জমাকৃত অর্থের ভাগ না পেয়ে একের পর এক কল্পিত নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে একদিকে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করছে ও আদালতের মামলার জট বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও হয়রানি করেই চলেছে। বাণীবদ্ধকৃত জাফরের কথোপকথন আমার কাছে সংরক্ষিত।

লিটন আহমেদ এ প্রতিবেদকে আরো বলেন, জাফর ইকবালের ছোট ভাই মোঃ হাফেজুল­াহ রানা আফ্রিকায় মারা গেছেন ২০২১ সালের ২ মে। আর আমি ওখানে যাই ২০১১ সালে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসি। তাহলে বাংলাদেশ থেকে আমি কিভাবে আফ্রিকায় রানাকে হত্যা করলাম? এ প্রশ্ন আপনাদের কাছে ?

লিটন আরো বলেন, নিহত হাফেজুল­াহ রানার স্ত্রী বিউটি বেগম ও বড় ভাই জসিম উদ্দিন ভান্ডারী এই মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন, যে আমি প্রতিজ্ঞা পূর্বক অঙ্গীকার করিতেছি যে আমার স্বামী হাফেজুল­াহ রানা গত ৩-৫-২০২১ তারিখে আফ্রিকায় নিখোঁজ হলে আফ্রিকান পুলিশ গত ইংরেজি ১২/৬/২০২১ তারিখে আমার স্বামীর লাশ উদ্ধার করে আফ্রিকান আইনানুগ কার্যক্রম শেষে আমার স্বামী মৃত্যু হাফেজুল­াহ রানার লাশ আফ্রিকায় বসবাসরত আমার আপন ছোট দেবর আমান উল­াহ মিঠু ও আমার আপন ননদের ছেলে ভাগিনা সবুজের কাছে হস্তান্তর করলে তারা আমার সম্মতিতে এবং আমার ভাসুর মোঃ জসিম উদ্দিন ভান্ডারী এবং দেবর জাফর উল­াহ ভান্ডারী সম্মতিতে আমার স্বামী রানার লাশ আফ্রিকায় দাফন করে এবং আফ্রিকান পুলিশ আমার স্বামী মৃত হাফেজুল­াহ রানার মৃত্যুর সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিদের সনাক্ত করে এবং তাদের গ্রেফতার করে আফ্রিকার আইন অনুযায়ী আমার স্বামীর খুনিদের বিচারকার্য সম্পন্ন করে। কিন্তু আমার মেজ দেবর মোঃ জাফর উল­াহ ভান্ডারী সম্পূর্ণ নিজস্বার্থ উদ্ধারের জন্য আমার স্বামীর মৃত্যুর বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় পক্ষ আব্দুল­াহ আল মামুন এর এবং বাবুল হোসেনকে দায়ী করে বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে উত্তপ্ত করছে যা খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক।
অন্যদিকে ইসলামবাগ এলাকা থেকে সামিরা (১৭) নামক এক নাবালিকা মেয়ের অপহরন কথা উলে­খ করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা। সামিরা ওদিুলের ছেলে শরিফের সাথে দীর্ঘদিনের ভালবাসা ছিল। সামিরা নিজ ইচ্ছায় শরিফের কাছে চলে আসে। তারা এখন বিয়ে করে সংসার করছে।
লিটন আরো বলেন, আমার গর্ভধারিনী মা একজন নামাজী মানুষ। তিনি কখনো কোনদিন ঝি-এর কাজ করেননি। ওই প্রতিবেদনে আমার মাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তা সত্যি কুরুচীপুর্ণ।
বাংলাদেশ কমিউনিটি পুলিশ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম. এ কুদ্দুস স্বাক্ষরিত পুলিশ কমিশনার-ডিএমপি, জেলা প্রশাসক-ঢাকা, পুলিশ সুপার-ঢাকা, উপপুলিশ কমিশনার-ওয়ারী বিভাগ, মহাপরিচালক-সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরিত এক অভিযোগে জানা গেছে, জাফর ভান্ডারীকে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। সভাপতি জাফরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগে সংগঠনের ১০ ধারা মোতাবেক সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়। তদাক্রোসে জাফর বাংলাদেশ কমিউনিটি পুলিশ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম. এ কুদ্দুসকে টেলিফোনে হুমকি দেয় এই বলে যে, আমার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে আপনাকে মেরে নদীতে ফেলে দেবো। এই হলো জাফরের চরিত্র।