৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ঠাকুরগাঁওয়ে দরপত্র ছাড়াই লাখ লাখ টাকা গাছ কর্তন, কর্তৃপক্ষ নিরব

আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৪

| nirvik sangbad

সৈয়দ আবদুল করিম
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের গ্রামীণ ব্যাংক শাখার ব্যাবস্থাপক পূর্ণ চন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছে মতো দরপত্র ছাড়াই ৪৮টি মেহগনি গাছ কর্তন করে বিক্রী করার অভিযোগ উঠেছে। গাছ গুলোর আনুমানিক মুল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা বলে ধারনা করা হচ্ছে। অপরদিকে স্থানীয় প্রশাসনের ভ‚মিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে জাবরহাট ইউনিয়নের গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানায়, গত শনিবার (৩ ফেব্রæয়ারি) থেকে জাবরহাট ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বোদং লোকজন নিয়ে এসে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা কার্যালয় চত্বরের মেহগনি জাতের অনেক পুরোনো গাছ কর্তন করতে শুরু করে। বিষয়টি জানাজানি হলে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন অবগত হয়ে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানায় তারা।
বনসংরক্ষণ আইন অনুযায়ী বনবিভাগের অনুমতিক্রমে প্রকাশ্যে দরপত্রের মাধ্যমে সরকারি, বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ কর্তন করার কথা। কিন্তু জাবরহাট ইউনিয়নের গ্রামীণ ব্যাংক শাখার ব্যাবস্থাপক পূর্ণ চন্দ্র বর্মন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের পকেট ভারী করার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের কাছে ৪৮টি মেহগনি গাছ বিক্রী করে দিয়েছেন।
জাবরহাট ইউনিয়নের গ্রামীণ ব্যাংক শাখার ব্যাবস্থাপক পূর্ণ চন্দ্র বর্মনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তার কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার এরিয়া কার্যালয়ে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন বিষয়টি অবগত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গেলে তিনি বলেন যেগুলো কাটছে কাটছে, বাকি গুলো বনবিভাগের সাথে আলোচনা করে প্রক্রিয়া অনুযায়ী কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও রেঞ্জের আওতায় পীরগঞ্জ বীটের বন কর্মকর্তা শাহজাহান আলী বলেন, এব্যাপারে গ্রামীণ ব্যাংকের কেউ আমাদের কাছে আসেনি। তবে স্থানীয়রা বিষয়টি অবগত করলে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করি।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রমিজ আলম বলেন আমার কাছে ইনফরমেশন এসেছিল। গ্রামীণ ব্যাংকের ওরাও এসেছিল। আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছি। বিধি দেখে পরবর্তীতে নির্দেশ দেওয়া হবে।