৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

পুরুষকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর দিন আজ, কেন জানেন?

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪

| palash

দীর্ঘ ৪ বছর ঘুরে আজ ফেব্রুয়ারির যে অতিরিক্ত একটা দিন পেলেন, দিনটি আপনি কীভাবে কাটাবেন বলে ভেবে রেখেছেন বা এই মুহুর্তে ঠিক করে ফেলেছেন।

তবে অনেকেই দিনটিকে ‘তুলে রেখে দিয়েছিলেন’ বিশেষ কোনো কাজে ব্যয় করার জন্য। যেমন কোথাও ঘুরতে যাওয়া, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ডিনারে যাওয়া, কোনো মানবিক বা সামাজিক কাজ বা কর্মসূচি হাতে নেওয়া, বহুদিনের জমে থাকা কাজগুলো করে ফেলা ইত্যাদি। আপনি যদি নারী হয়ে থাকেন আর আপনার যদি পছন্দের পুরুষ থেকে থাকে, তাহলে আজই সে কথা জানিয়ে দেওয়ার জন্য উপযুক্ত দিন। কেন জানেন?
‘লজ্জা নারীর ভূষণ’—এ রকম একটা কথা কেবল আমাদের সংস্কৃতিতে নয়, সারা বিশ্বের সবখানেই কমবেশি প্রচলিত। তাই পুরুষেরাই সব সময় ভালোবাসার কথা জানাবেন, হাঁটু গেড়ে প্রস্তাব দেবেন, বিষয়টাই আমরা দেখেশুনে অভ্যস্ত। সেই পঞ্চম শতাব্দীতে রোমানো-ব্রিটিশ পোপ সেন্ট প্যাট্রিককে কেউ একজন নারীদের হয়ে বলেছিলেন, ওদের তো মনের কথা জানাতে অনেক সময় লেগে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রিয়জনকে মনের কথা জানাতেই পারেন না। তার আগেই সেই প্রিয়জন ‘অফিশিয়ালি’ অন্য কারও হয়ে যান। বা যেকোনো কারণেই হোক, তারা আলাদা হয়ে যান। এর ফলে নীরবেই তৈরি হয় অনেক বিচ্ছেদের গল্প। কোনো দিন যেগুলো ইতিহাসের পাতায় জায়গা পায় না।

তখন নারীদের জন্য একটা দিন নির্দিষ্ট করে দেন আয়ারল্যান্ডের সেই ধর্মপ্রচারক সেন্ট প্যাট্রিক। পছন্দের পুরুষকে সেদিন তাঁরা বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবেন। আর সেটা হলো ৪ বছর পর আসা ফেব্রুয়ারির অতিরিক্ত দিনটি; অর্থাৎ আজকের দিনটি।

সেন্ট প্যাট্রিক এ-ও নিয়ম করেন, যে পুরুষ অধিবর্ষে পাওয়া কোনো নারীর বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেবেন, সরকারি কোষাগারে তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জরিমানা দিতে হবে। আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক থেকে শুরু করে সারা ইউরোপেই এদিন নারীদের পক্ষ থেকে পছন্দের পুরুষকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেওয়াটা অনেকটা অলিখিত প্রথার মতো চালু হয়ে যায়। এখন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিনটিকে নারীদের পক্ষ থেকে ছেলেদের প্রস্তাব পাঠানোর দিন হিসেবে উদ্‌যাপন করা হয়ে থাকে।