আপডেট: মার্চ ১, ২০২৪
‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে তিনদিন আগে (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে যোগ দেন নাঈম। শুক্রবার রাতে বেইলি রোডের ভবনটিতে আগুন লাগলে তিনি সেখানেই ছিলেন। এরপর তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাওয়া যায়।
নাঈম বরগুনা সদর উপজেলার বড় গৌরীচন্না এলাকার মো. নান্টু হাওলাদারের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, পরিবারে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকায় চাকরির খোঁজে যান নাঈম। এরপর শুরুতে একটি কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। এর কিছুদিন পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে যোগ দেন তিনি।
নিহতের বাবা নান্টু হাওলাদার বলেন, সবশেষ তার সঙ্গে আমার যখন ফোনে কথা হয় তখন সে বলেছিল, ‘বাবা আমি ভবনের ছয়তলায় আটকে পড়েছি। চারপাশে আগুনের ধোঁয়ায় কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।’ এরপর ছেলের সঙ্গে আর আমার যোগাযোগ হয়নি।
নিহত নাঈমের চাচা মিরাজ দফাদার ও বড় খালা তাসলিমা বেগম বলেন, নাঈম খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। ওর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। তার বাবা শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে যখন যে কাজ পায় সে কাজ করেন। এ কারণেই নাইম সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় যান।
নাঈমের ফুফু মাহফুজা বেগম বলেন, নাইমের মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন এবং বাবা অসুস্থ থাকা সে ঢাকায় গিয়ে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি নেন। এখন কী হবে এই পরিবারের? একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে পরিবারের পাশে দাঁড়াবে কে? নাঈমের উপর ভরসা করেই টাকা ঋণ নিয়ে সম্প্রতি একটি নতুন টিনের ঘরও নির্মাণ করেন তারা।