৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-২০২৪ নবী ঘূর্ণিতে সাজঘরে সৌম্য

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪

| palash

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে লড়ছে ফরচুন বরিশাল। আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুরের ছুঁড়ে দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করছে বরিশাল। যেখানে থিতু হওয়া সৌম্যকে সাজঘরে ফেরালেন মোহাম্মদ নবী।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বরিশালের সংগ্রহ ১০ ওভারে দুই উইকেটে ৬৯ রান।

দশম বিপিএলের অঘোষিত ‘ফাইনালে’ মিরপুরে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করেছে রংপুর রাইডার্স। এতে বরিশালের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৮১ রান।

রান তাড়ায় ফরচুন বরিশালের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ম্যাচের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তামিমকে সাজঘরের পথ দেখান আবু হায়দার রনি। আউট হওয়ার আগে ৮ করেন তিনি। একই ওভারে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন মেহেদী মিরাজ। আম্পায়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এতে ১০ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় ডানহাতি এ ব্যাটারকে।

শুরুর চাপ সামলে সৌম্যের সঙ্গে জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচের দশম ওভারে নবীর ঘূর্ণিতে সৌম্যকে স্টাম্পিং করেন সোহান। সৌম্যর বিদায়ে ভেঙে যায় তাদের ৪৭ রানের ইনিংস।

পরে ক্রিজে আসেন কাইল মেয়ার্স। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এতে আগে ব্যাট করে রংপুর। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন শেখ মাহেদী ও রনি তালুকদার।

তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই জুটিতে আঘাত হানেন সাউফউদ্দিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শুরুতেই মাহেদীকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের তালুবন্দী করেন তিনি। আউট হওয়ার ২ করেন তিনি।

ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসান (১) ও রনি তালুকদার (৮)। শুরুর চাপ সামলে দলকে কিছুটা এগিয়ে নেন জেমি নিশাম। তার ব্যাটে আশা দেখছিল সোহেলের শিষ্যরা। কিন্তু ২৮ করে সাজঘরের পথ ধরেন নিশাম।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে রংপুর যখন মহাবিপদে। তখন ব্যাট হাতে একাই লড়াই চালিয়ে যান শামীম। এতে ২০ বলে ফিফটি করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এ সময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আবু হায়দার রনি।

শামীম-রনি জুটির ব্যাট থেকে আসে ৭২ রান। তাদের জুটিতে ভর করেই ১৪৯ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন জেমস ফুলার।