৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থামছেই না

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪

| palash

আসন্ন রমজান ঘিরে আবারো বেশি লাভের আশায় বাজারে আধিপত্য বিস্তার শুরু করেছে বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। সেইসঙ্গে বিশ্বের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে ইস্যু করে বিএনপিপন্থী কিছু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্যের বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে। এ ছাড়া বিএনপি সিন্ডিকেট খাদ্যদ্রব্য মজুত রেখে বাজারে সংকট সৃষ্টি করার কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জানা গেছে, আন্দোলন, নির্বাচন সব কিছুতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপির হাইকমান্ড এখন দ্রব্যমূল্যের বাজারকে টার্গেট করেছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে দেশের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

২০০১-০৬ বিএনপির-জামায়াতের শাসনামলে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন প্রথম বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয় এবং আড়তদারদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতপন্থীদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেন। মামুনের তৈরি করা সেই সিন্ডিকেট এখনো বহাল রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পবিত্র রমজান মাসকে টার্গেট করে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারের বিএনপি-জামায়াতপন্থী আড়তদাররা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে তেল, ডাল, ছোলা, খেজুর পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

সূত্র বলছে, খাতুনগঞ্জ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে দেশের অর্ধেক বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। খাতুনগঞ্জে আমীর খসরু মাহমুদের ভালো প্রভাব রয়েছে। এখানকার ব্যবসায়ীদের বড় একটি অংশ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

এছাড়া ঢাকার শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট সক্রিয়। আর এসব শক্তিশালী নেটওয়ার্ক কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধি করে অধিক মুনাফা করছে। একই সঙ্গে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি জনগণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষন্ণ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপিপন্থী সিন্ডিকেট।